মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেসের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাহুল গান্ধী এ মন্তব্য করেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।
বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় রাহুল লেখেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে টুকরো টুকরো করা, জনপ্রতিনিধিদের অন্তরীণ করা ও আমাদের সংবিধান লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে জাতীয় অখণ্ডতার বিকাশ সাধিত হয় না।
সোমবার (০৫ আগস্ট) ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার জম্মু ও কাশ্মীর বিভাজনের ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর কংগ্রেসের অবস্থান জানিয়ে এ মন্তব্য এলো।
এর আগে সোমবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দিলে কংগ্রেস নেতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখান।
রাজ্যসভায় দলটির সদস্যরা তীব্রভাবে এ ঘোষণার বিরধীতা করে, একে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেন। অন্যদিকে, পার্লামেন্টের বাইরে থেকে জনার্দন দ্বিবেদী ও দীপেন্দর হুদা এ ঘোষণাকে সমর্থন দেন।
অবশেষে মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশ্নে কংগ্রেস দলীয় অবস্থানের জানান দিল। এর আগ পর্যন্ত রাহুল এ বিষয়ে নীরব ছিলেন।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশ্নে কংগ্রেসের বিরোধীতা করা উচিত কি-না, দলীয় নেতাদের কাছে তা জানতে চান রাহুল। কংগ্রেস সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এর বিরোধীতা করবো এই অবস্থান থেকে যে, এ বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ ও বিধানসভার সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।
এ বিষয়ে কংগ্রেস জরুরি কোনো বৈঠক আহ্বান করবে কি-না, জানতে চাইলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রাহুল বলেন, বর্তমানে কংগ্রেসের সভাপতি না থাকায় আমি এমন বৈঠকের আহ্বান জানাতে পারি না।
গেল জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় নিয়ে চলতি বছরের মে মাসে রাহুল দলের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তার পদত্যাগের পর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সভাপতি নির্বাচিত না হওয়ায় দলটি বর্তমানে এলোমেলো অবস্থায় আছে। অন্তর্বর্তীকালীন কোনো সভাপতি নির্বাচনের লক্ষ্যে এরই মাঝে কংগ্রেস জ্যেষ্ঠ নেতা ও ওয়ার্কিং কমিটির একটি বৈঠক আহ্বান করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এইচজে/টিএ