মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে এ বিরোধিতা জানায় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে জানা যায়।
বিতর্কিত কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশকে চীন ও পাকিস্তান নিজেদের বলে দাবি করে।
চীন জানায়, তারা কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের বিরোধিতা করে। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নয়াদিল্লীর সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়িং বিবৃতিতে বলেন, (কাশ্মীর ইস্যু) ভারতের পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য। এর কোনো বৈধতা থাকবে না। সীমান্ত সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে চীন ও ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি যথাযথভাবে পালনের ব্যাপারে ভারতকে সতর্ক করে চীন।
বিবৃতিতে কাশ্মীরকে বর্তমানে সার্বিকভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার জন্যও নিন্দা জানানো হয়।
এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করা ভারতের নিজস্ব বিষয়। ভারত যেমন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করে না, একইভাবে সে চায় না যে, তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশ মন্তব্য করুক।
অন্যদিকে, পাকিস্তানও ভারতের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ নিয়ে তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে। ইসলামাবাদ জানায়, তারা কাশ্মীরি জনতার লড়াইয়ে কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আমরা প্রত্যেক ফোরামে (মোদীর) এ নীতির বিরুদ্ধে লড়বো। আমরা ভাবছি কী করে এটিকে আন্তর্জাতিক আদালত ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নেওয়া যায়।
কাশ্মীর নিয়ে পরমাণু শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তান এ পর্যন্ত দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। বিশেষ মর্যাদা রদের পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরে বর্তমানে ৩৫ হাজারের মতো সেনা মোতায়েন রয়েছে। ফোন, ইন্টারনেটসহ সব দিক দিয়ে বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এ অঞ্চল।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই’র প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, শ্রীনগরের রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা। কোথাও মানুষজন নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এইচজে/টিএ