বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) লাহোরের কোট লাখপাত কারাগারে বন্দি তার বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফেরার পথে মরিয়মকে গ্রেফতার করা হয়।
যদিও এনএবি দাবি করেছে, অর্থ-পাচার সংক্রান্ত এক জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হওয়ায় মরিয়মকে গ্রেফতার করা হয়।
এনএবি জানায়, চৌধুরী সুগার মিল নামক একটি প্রতিষ্ঠানে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় মরিয়মকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এ বিষয়ক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার এনএবিতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি তা না করে কারাগারে বাবাকে দেখতে যান।
মরিয়মকে গ্রেফতার করে এনএবি সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে জবাবদিহি আদালতের সামনে হাজির করা হবে মরিয়মকে। মরিয়মের পরপরই গ্রেফতার নওয়াজ শরিফের ভাতিজা ইউসুফ আব্বাসকেও শুক্রবার একই আদালতে হাজির করা হবে বলে জানায় এনএবি।
এদিকে মরিয়ম গ্রেফতারের ঘটনায় দেশটির পার্লামেন্টের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করছে পিএমএল-এন পার্টির নেতা-কর্মীরা। পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো। পাঞ্জাব বিধানসভাও এর বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পিএমএল-এন সরকারের আর্থিক পর্যবেক্ষণ ইউনিট এনএবির কাছে এক প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে দেখা যায়, চৌধুরী সুগার মিলে বিপুল অংকের সন্দেহজনক অর্থ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। পরে বিস্তারিত তদন্তে বেরিয়ে আসে নওয়াজ শরিফ, মরিয়ম নওয়াজ, নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ ও তাদের পরিবার ওই সুগার মিলের অন্যতম শেয়ার হোল্ডার। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের কিছু বিদেশি শেয়ার হোল্ডারও এর সঙ্গে আছে।
২০০১ থেকে ২০০৭ সালে ওই সুগার মিলে বিদেশিদের নামে বরাদ্দ শেয়ারের আওতায় বিলিয়ন বিলিয়ন রুপি বিনিয়োগ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ওইসব শেয়ার নওয়াজ পরিবারের নামে স্থানান্তরিত হতে দেখা যায়। ওই মিলের শেয়ার ও অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মরিয়মকে তলব করে এনএবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এইচজে/এইচএ