বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাশিয়ার মস্কোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো প্রাণহানি না হলেও অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে ‘মিরাকল ওভার রামেনস্ক’ নাম দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো (ঝুকোভস্কি বিমানবন্দরকে রামেনস্কয়ে বিমানবন্দরও বলা হয়)।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২৩৩ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ইউরাল এয়ারলাইনসের একটি প্লেন ঝুকোভস্কি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ক্রিমিয়া যাচ্ছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই একঝাঁক শঙ্খচিলের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। এতে প্লেনের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে সেটি দ্রত নিকটবর্তী একটি ভুট্টাক্ষেতের মধ্যেই অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্লেনের ইঞ্জিনে পাখির শরীরের টুকরো ঢুকে গিয়েছিল। একারণে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান নেন ক্রুরা। পরে ইঞ্জিন বন্ধ রেখে ও ল্যান্ডিং গিয়ার (চাকা) না নামিয়েই অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে অবতরণ করে প্লেনটি।
প্লেনের এক যাত্রী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই প্লেনটি ভয়ঙ্করভাবে ঝাঁকি দিতে থাকে। পাঁচ সেকেন্ড পরেই এর ডান পাশের লাইটগুলো জ্বলতে শুরু করে। এসময় কিছু একটা পোঁড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এরপর আমরা অবতরণ করি ও সবাই দৌঁড়ে দূরে সরে যাই।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা আবার বিমানবন্দরে ফিরে গেছেন।
ইউরাল এয়ারলাইন্সের মহাপরিচালক কিরিল স্কুরাটোভ জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে এখনো যারা ভ্রমণ করতে চান, তাদের মেডিক্যাল চেকআপের পর বিকল্প ফ্লাইটে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ ঘটনাকে ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন নদীতে প্লেন অবতরণের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছে অনেক রাশিয়ান গণমাধ্যম।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্লেনটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি আর ওড়ার সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
একে