শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পুতিন রুশ সামরিক বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ভিত্তিতে রাশিয়ার অবস্থান নির্দিষ্ট করা দরকার। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে আমাদেরও ‘এগোতে’ হবে।
এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তারা ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূর টার্গেট করে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছেন। যদিও তারা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল অপারমাণবিক।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, আগস্টের শুরুর দিকে স্নায়ুযুদ্ধকালের বড় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
১৯৮৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এ অনুসারে, দুই দেশে স্বল্প ও মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন নিষিদ্ধ ছিল।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে দোষ দিচ্ছিল, ‘তারা আইএনএফ চুক্তি মানছে না। আমরাও এটা মানবো না। ’ আবার রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রকে একই দায় দিয়ে আসছিল। উভয়পক্ষের দোষ চাপাচাপির একপর্যায়ে এ বছরের শুরুর দিকে এই চুক্তি স্থগিত করে রাশিয়া। এ পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রও হুমকি দিয়েছিল তারাও চুক্তিতে থাকবে না। শেষপর্যন্ত এ মাসের শুরুর দিকে ঐতিহাসিক এ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।
এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলছে, যুক্তি না শোনা বা সমঝোতায় না আসা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছিল, ২০১০ সাল থেকে বারবার চুক্তি লঙ্ঘন করছে রাশিয়া। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করছে মস্কো।
কিন্তু সোমবার প্রকাশ্যে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর এবার এ নিয়ে পুতিন বলছেন, আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনাটি এবার স্বতঃস্ফূর্ত। এটিকে বিতর্কিত করা অসম্ভব। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিজেরাই পরীক্ষা চালিয়েছে সম্পর্কে বলেছে।
শুক্রবার পুতিন বলেন, রাশিয়া অলস অবস্থানে থাকতে পারে না। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ‘মূল স্বার্থের’ প্রভাব ফেলতে রাশিয়ার সীমান্তের নিকটবর্তী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের কথা বলেছে।
এ নিয়ে পুতিন সামরিক কর্মকর্তাদের বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের মাত্রা অধ্যয়ন করতে হবে। এমনকি ‘নিয়মনিষ্ঠভাবে প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর জন্য প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
টিএ