শুক্রবার (২৪ আগস্ট) দেশটির উত্তর মেরু ঘেঁষা বন্দর মুরমান্সক থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে পুবের আরেক বন্দর চুকোতকার উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র যাত্রা শুরু করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দেশটির পরমাণু সংস্থা রোজেনেরগোয়াতম জানায়, যাত্রাপথে উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করবে ‘আকাদেমিক লোমোনসভ’। এ ছাড়া এটি সোনার খনি সমৃদ্ধ চুকোতকার সাউন-বিলিবিন প্রকল্পেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
সংবাদমাধ্যম ভেস্তি জানায়, পারমাণবিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় এক লাখ মানুষের কোনো শহরে আলো ও তাপ সরবরাহে সক্ষম। ৪৫৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯৮ ফুট প্রস্থের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুনামি মোকাবিলায় সক্ষম। এ ছাড়া এতে রয়েছে বরফ কাটার বিশেষ ব্যবস্থা। এটি আগামী ৪০ বছর সক্রিয় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভাসমান এ বিদ্যুৎকেন্দ্র সমুদ্রের পানি প্রক্রিয়াজাত করে খাবার পানিতে পরিণত করতেও সহায়তা করবে। এতে করে বিভিন্ন দ্বীপাঞ্চল উপকৃত হবে বলে জানায় রাশিয়া।
এদিকে ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রের এ প্রকল্পকে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ার পূর্বেকার পরমাণু দুর্ঘটনাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংগঠনটির সমালোচকরা বলন, এ প্রকল্প জনবিরল উত্তর মেরু অঞ্চলে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি তৈরি করবে।
সম্প্রতি রাশিয়ায় পরমাণু-বিদ্যুৎচালিত রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষাকালে এক বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত হন। ওই দুর্ঘটনার ফলে উত্তর মেরুর বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিকর রাসায়নিক বিকিরণের মাত্রা বেড়ে যায়। এর মাত্র দুই সপ্তাহ পর এ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হলো। এতে অত্যধিক বিকিরণসৃষ্টিকারী জ্বালানি ব্যবহার করা হবে। এটি প্রাণ ও প্রতিবেশের জন্য নানা ভাবে হুমকির সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এইচজে