সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমগুলোতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ছবি বোধ হয় এটিই! মার্কিন অভিনেতা ও র্যাপ শিল্পী জ্যাডেন স্মিথ (উইল স্মিথের ছেলে), ইউটিউবার লগান পলের মতো তারকারাও ছবিটি শেয়ার করে আমাজনের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এটি আমাজনের ছবি ঠিক আছে, কিন্তু ব্রাজিলে এবারের দাবানলের নয়। ছবিটি অন্তত ২০ বছর আগের। ২০০৭ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে ছবিটি পুনঃপ্রকাশ করে জানানো হয়, এটি ১৯৮৯ সালের জুন মাসে তোলা হয়েছিল।
আমাজনের বিশাল সবুজ অংশ পোড়ার আরেকটি ছবি অসংখ্যবার ব্যবহৃত হয়েছে গণমাধ্যমে। ছড়িয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামেও। লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও দু’দিন আগে ছবিটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে উদ্বেগ জানিয়েছেন দাবানল নিয়ে।
কিন্তু, এটিও আমাজনের সাম্প্রতিক দাবানলের নয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্বনব্রিফ নামে একটি পরিবেশ বিষয়ক ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়েছিল ছবিটি।
ফিলিপিনো-চাইনিজ অভিনেতা ডেভিড লিকোকা শেয়ার করেছেন চারটি ছবি, এর একটিও এবারের দাবানলের নয়। বাম পাশের দু’টির বর্ণনা আগেই দেওয়া হয়েছে। ডান পাশে উপরে ২০১৮ সালে সুইডেনের বনে আগুন লাগার ছবি, আর এর নিচেরটি ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় দাবানলের সময়কার।
আমাজনের আগুনে পুড়ে আহত বা মৃত অসংখ্য পশুপাখির ছবিও ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জনপ্রিয় ব্লগার নাতালি মিউনোজ টুইটারে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন।
তার পোস্টে বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে বানরের কান্নার ছবিটি তোলা হয়েছিল ভারতে ২০১৬ সালে। আর পোড়া খরগোশের মর্মান্তিক ছবিটি তোলা হয় ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের সময়।
‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত আমাজনে ভয়াবহ দাবানলের ভুল ছবি ছড়ালেও সেখানে এবারের ক্ষয়ক্ষতি এসবের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএনপিই) জানিয়েছে, এবছর ব্রাজিলে আগুন লাগার ঘটনা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। গত বছর এ সময়ে আগুন লেগেছিল ৪০ হাজারবারের মতো। এবার এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজারেরও বেশি, যার অর্ধেকই ঘটেছে আমাজন অঞ্চলে। স্যাটেলাইটের পাঠানো ছবিতেও ধরা পড়েছে বনের বিশাল অংশ উধাও হওয়ার চিত্র।
সূত্র: সিএনএন
আরও পড়ুন
আমাজনে আগুন: দোষ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের?
‘পৃথিবীর ফুসফুস’ জ্বলছে মানুষের কারণে!
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
একে