শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানী মানামায় মোদীর হাতে ‘দ্য কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনেসাঁস’ সম্মাননা তুলে দেন বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা। প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাহরাইন সফরে গিয়ে এ পুরস্কার বাগিয়ে নিলেন মোদী।
এর আগে একইদিন আবুধাবিতে ‘দুই জাতির মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ়করণে অনন্য প্রচেষ্টার স্বীকৃতি’ হিসেবে মোদীকে নিজেদের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘অর্ডার অব জায়েদ’ প্রদান করে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নরেন্দ্র মোদীকে আরও যেসব মুসলিম দেশ নিজেদের সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারে ভূষিত করে সেগুলো হলো- মালদ্বীপ, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান ও সৌদি আরব।
এর মধ্যে চলতি বছরের জুনে মোদী পান মালদ্বীপের ‘রুল অব নিশান ইজুদ্দিন’ পুরস্কার। তার আগে ২০১৮ সালে ফিলিস্তিনের ‘গ্রান্ড কলার অব দ্য স্টেট অব প্যালেস্টাইন’ পুরস্কার পান তিনি। তারও আগে ২০১৬ সালে আফগানিস্তান ও সৌদি আরবের কাছ থেকে পান যথাক্রমে ‘আমির আমানুল্লাহ খান অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘কিং আব্দুল আজিজ সাশ অ্যাওয়ার্ড’।
সংবিধানে ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত স্বায়ত্তশাসনসহ বিশেষ মর্যাদা সম্প্রতি বাতিল করে দেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ওই অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মীর আলাদা সংবিধান ও পতাকার স্বাধীনতা ভোগ করতো। কাশ্মীরে জমি কেনা, ব্যবসা ও চাকরির সুবিধা ছিল কাশ্মীরিদেরই জন্য। কিন্তু ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণে সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কাশ্মীরিরা।
এ নিয়ে পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘসহ বিশ্ব পরিসরে অভিযোগ করে আসছে, নরেন্দ্র মোদীর সরকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের প্রতি অবিচার করেছে। কাশ্মীরিরা যে শর্তে ভারতে যোগ দিয়েছিল (৩৭০ অনুচ্ছেদ) সেটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানায় মুসলিম দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন এই সংস্থার সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এইচজে/এইচএ