সোমবার (২৬ আগস্ট) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়মিত বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়মিত বৈঠকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের ওপর থাকা হুমকি ও বিভিন্ন দিক বিবেচনায় কাকে কতটুকু নিরাপত্তা দেওয়া হবে তা ঠিক করা হয়।
এসপিজি প্রত্যাহার হলে তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে বিশেষায়িত বাহিনী সিআরপিএফের টিম।
ফলে বর্তমানে ভারতের চার নেতার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে এসপিজি। তারা হলেন- দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র।
এ ব্যাপারে ২০০৪ সালে থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকা মনমোহন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, মনমোহন সিং তার নিরাপত্তার ব্যাপারে চিন্তিত নয়। ফলে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই তিনি মেনে নেবেন।
তবে শুধু মনমোহন সিং-ই নয়, এর আগে দেশটির সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবে গৌড়া ও ভিপি সিংয়ের নিরাপত্তায় থাকা এসপিজি-ও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। একই কাজ করা হয়েছিল ভারতের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গেও। ২০১৮ সালে মারা যান অটল বিহারী বাজপেয়ী। তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে এসপিজি প্রত্যাহারের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে তেমন একটা জনসম্মুখে দেখা যায়নি।
এসপিজি-তে প্রায় তিন হাজার নিরাপত্তাকর্মী কর্মরত রয়েছেন। বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে এসপিজি।
১৯৮৪ সালে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরেই মূলত প্রধানমন্ত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ১৯৮৫ সালে এসপিজি গঠন করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যার পরে এসপিজি আইন সংশোধন করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের পরিবারকেও দশ বছর পর্যন্ত এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ২০০৩ সালে বাজপেয়ী সরকারের আমলে ফের এসপিজি আইন সংশোধন করে দশ বছরের ওই সময়সীমা কমিয়ে এক বছর করা হয়। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে এক বছর পরেও এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এসএ/