বুধবার (২৮ আগস্ট) এক আবেদনের শুনানি করে এ আদেশ দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে কারফিউর মধ্যে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক হন সীতারাম।
এ বিষয়ে শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘আবেদনকারী শিক্ষার্থী আলেম সাঈদকে কাশ্মীর ভ্রমণ করার এবং অনন্তনাগে গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে...। ’
আদালত রাজ্য সরকারকে ওই পড়ুয়ার সফর সহজতর করার এবং তাকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেওয়ারও আদেশ দেন।
অন্যদিকে দলীয় সহকর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতির জন্য সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির আবেদনের বিষয়ে আদালত বলেন, ‘আমরা আপনাকে দেখা করার অনুমতি দেবো। দেশের এক নাগরিক তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে চান, এতে অসুবিধা কোথায়?’
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় সংবিধানে রাখা ৩৭০ অনুচ্ছেদ আগস্টের শুরুতে বাতিল করে দেয় নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে নাটকীয় কায়দায় অঞ্চলটিজুড়ে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বন্দি করা হয় সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতাকে। ইন্টারনেট, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ যাবতীয় সব যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কারফিউ জারি করে রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় সশস্ত্র বাহিনী।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা চলে যাওয়ার সময় উপমহাদেশ ভাগ হয়ে গেলে তখন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের শাসকরা বিশেষ শর্তে ভারতে যোগ দেন। সেই শর্তটিই ৩৭০ অনুচ্ছেদ আকারে সংবিধানে সংরক্ষিত ছিল। এই অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মীর আলাদা সংবিধান ও পতাকার স্বাধীনতা ভোগ করতো। এমনকি সেখানে সরকারি চাকরি, জমি কেনা এবং ব্যবসা করার সুযোগটিও ছিল কেবল কাশ্মীরিদের জন্যই। কিন্তু ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণে সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কাশ্মীরিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এইচএ/