আগস্টে বিশ্বের নিরাপদ শহরগুলোর এক তালিকা প্রকাশ করেছে ইআইইউ।
বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরকে নিয়ে এ গবেষণা চালিয়েছে ইআইইউ।
২০১৯ সালে প্রকাশিত নিরাপদ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে ৫৬-তে, যেখানে ২০১৮ সালে ছিল ৫৮-তে। অন্যদিকে তালিকায় পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের মুম্বাই শহরের অবস্থান রয়েছে ৪৫ এবং দিল্লির অবস্থান রয়েছে ৫২-তে।
এ তালিকা অনুযায়ী ৬০টি শহরের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে প্রথম ১০-এ রয়েছে- জাপানের রাজধানী টোকিও, সিঙ্গাপুর, জাপানের ওসাকা, নেদারল্যান্ডের অ্যামস্টারডাম, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, কানাডার টরেন্টো, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, যৌথভাবে একই অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহাগেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন।
এদিকে ইআইইউ’র তালিকায় থাকা ৬০টি শহরের মধ্যে সবচেয়ে অনিরাপদ শহর হিসেবে রয়েছে- নাইজেরিয়ার লাগোস, ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস, মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন ও পাকিস্তানের বাণিজ্যিক নগরী করাচির নাম।
অন্যদিকে শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক দিয়ে ৬০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান রয়েছে ৫৭-তে। যেখানে শীর্ষে রয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিও শহর এবং যৌথভাবে ৪৭-এ রয়েছে ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ের অবস্থান।
স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার দিক দিয়েও ৬০টি শহরের মধ্যে ৫৭-তেই রয়েছে ঢাকার অবস্থান। যেখানে শীর্ষে রয়েছে জাপানের ওসাকা শহর এবং ভারতের মুম্বাই ৫০ ও দিল্লি ৫১-তে রয়েছে।
তবে অবকাঠামোগত নিরাপত্তায় ঢাকার অবস্থান যেনো ঢাকার ঝুঁকিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ হিসেবে ঢাকার অবস্থান রয়েছে ৬০ শহরের মধ্যে ৫৯-এ। যেখানে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর এবং ভারতের মুম্বাই ৫০ ও দিল্লি ৫৭-তে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিকে ৬০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান রয়েছে ৫৫-তে। যেখানে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর এবং ভারতের মুম্বাই ৩৭ ও দিল্লি ৪১-এ রয়েছে।
প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছে যে, বিগত ১০ বছরের প্রতিবছরই ঢাকার জনসংখ্যা বেড়েছে গড়ে সাড়ে চার লাখ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এসএ/