সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। ঘটনাটি রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
নববধূর অভিযোগ, স্বামী তাকে অবহেলা করছেন। বিয়ের পর থেকেই তিনি ঠিকমতো সময় দেননি। শুধু সরকারি চাকরির জন্য কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
জোর করে হয়তো বিয়ে করানো হয়েছিল তার স্বামীকে। এজন্য পড়াশোনার বাহানা দেখিয়ে তার থেকে দূরে থাকছেন বলে ধারণা স্ত্রীর।
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অবশেষে এ দম্পতি হাজির হন স্থানীয় কাউন্সিলর নূরান্নিসা খানের কাছে। তিনি জানান, ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সাহায্য নিয়ে দু’জনের কাউন্সেলিং শুরু করেছেন তিনি।
জানা যায়, ওই নারীর স্বামী পিএইচডি করেছেন। তারপরও সরকারি চাকরির জন্য মরিয়া তিনি। কাউন্সেলিংয়ের প্রথম পর্যায়ে চাকরি ও পড়াশোনা ছাড়া আর কোনোও কথা বলেননি এ ব্যক্তি। স্ত্রীর প্রতি কোনো দায়বদ্ধতাও নেই। নানা কারণে মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত তিনি। এ কারণে ওই নারী তার স্বামীকে ছেড়ে চলে যান। পরে তাকে বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা নিষ্পত্তির জন্য বলা হয়।
কাউন্সিলর আরও জানান, তাদের দু’জনকেই মেডিটেশন করার জন্য বলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এএটি