আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইনসাইডার জানায়, ওয়াই৯৯৯ নামের ট্রেনটি ‘লাভ-পারস্যুট’ (ভালোবাসাকে অনুসরণ) নামেই বেশি পরিচিত। কারণ, এখানে তরুণ-তরুণীরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান, একসঙ্গে সময় কাটান ও একে অপরের প্রেমে পড়তে পারেন।
প্রায় দেড়শ’ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীনে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ ‘সিঙ্গেল’। একারণে দেশটিতে ক্ষমতাসীন দলের যুব শাখার উদ্যোগে বছর তিনেক আগে চালু হয় ‘লাভ ট্রেন’। যদিও, এ পর্যন্ত মাত্র তিনবার ভ্রমণে বেরিয়েছে ট্রেনটি, তবে প্রতিবারই এতে আরোহী হয়েছেন হাজার হাজার প্রেমপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণী। সবশেষ গত ১০ আগস্ট চংজিং উত্তর স্টেশন থেকে দু’দিনের ভ্রমণে চাংজিয়াংয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
এর যাত্রী হুয়াং সং বলেন, ম্যাচমেকিংয়ের চেয়ে এ কাজটি বেশি সৃজনশীল। বিভিন্ন জায়গার মানুষদের এক জায়গায় আনতে এটি ব্রিজের মতো কাজ করে। তারা ভ্রমণের সময় একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।
‘আপনি যদি সঠিক সঙ্গী খুঁজে নাও পান, তবুও ট্রেনে অসংখ্য বন্ধু বানাতে পারবেন। ’
চীনের এ পরিকল্পনা কিন্তু একেবারে বৃথা যাচ্ছে না। এটি সত্যি সত্যি অসংখ্য জুটি তৈরি করেছে। ডেইলি মেইলের তথ্যমতে, ‘লাভ-ট্রেনে’ ভ্রমণ শেষে অন্তত ১০টি যুগল বিয়েও সেরে ফেলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেস্বর ০১, ২০১৯
একে