শনিবার (৩১ আগস্ট) মিয়ানমার কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং’র ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ২০১৭ সালে রাখাইনের এক রোহিঙ্গা গ্রামে সামরিক অভিযানকালে ‘কিছু ক্ষেত্রে সেনা সদস্যরা নির্দেশ পালনে দুর্বলতা প্রদর্শন করেছে'। সম্প্রতি একটি সামরিক আদালত রাখাইনে অনুসন্ধান চালিয়ে এ তথ্য পায়।
মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র তুন তুন নি রয়টার্সকে জানান, সামরিক ওই তদন্তে কী তথ্য পাওয়া গেছে তা গোপনীয়। আমার এ ব্যাপারে জানার অধিকার নেই। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে আরেকটি বিবৃতি দেওয়া হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ব্যাপারে জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে এক মেজর জেনারেল ও দুই কর্নেলের সমন্বয়ে একটি সামরিক আদালত গঠন করে মিয়ানমার। ওই আদালত জুলাই ও আগস্ট মাসে দুইবার রাখাইন পরিদর্শন করে।
গত মাসে মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং বলেন, রাখাইনে সহিংসতায় কিছু সেনা সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। যদিও ২০১৭ সালে আরেক তদন্তে এ ইস্যুতে কোনো ধরনের অপরাধ-সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে সেনাবাহিনী।
এর আগে গত বছর জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন জানায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইনে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ অভিযান পরিচালনা করে। তারা মিন অং হ্লেইংসহ সামরিক বাহিনীর আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ব্যাপক অপরাধের’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার প্রস্তাব দেয়।
এদিকে এরই মাঝে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাখাইন সহিংসসতায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া এ বিষয়ে ফিলিপাইনের কূটনীতিক রোসারিও মানালো ও জাতিসংঘের সাবেক জাপানি দূত কেনজো অশিমার সমন্বয়ে গঠিত মিয়ানমারের একটি প্যানেল এখনো তাদের অনুসন্ধান প্রকাশ করেনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জবাদিহিতার জন্য মিয়ানমারের ওপর ক্রমাগত আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েই চলেছে।
২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এইচজে/এইচএ