রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেনভিত্তিক হুথি সংবাদমাধ্যম আল মাশাইরাহ টেলিভিশন জানায়, যে ভবনটিতে হামলা চালানো হয়, সেখানে যুদ্ধবন্দিদের রাখা হতো।
ইয়েমেনের কারাবন্দিবিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রধান আব্দুল কাদের আল-মোরতাদা জানান, হামলার শিকার ভবনটিতে ১৭০ জনেরও বেশি যুদ্ধবন্দি ছিলেন।
অন্যদিকে রোববার এক বিবৃতিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট দাবি করে, হামলা চালানো ওই স্থাপনাটিতে হুথি সেনারা ড্রোন ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন সরঞ্জাম মজুদ করেছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনেই ওই হামলা চালানো হয়।
এদিকে ধামার প্রদেশে চালানো এ হামলাকে ইয়েমেনে সৌদি জোটের আরও একটি ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিযোগ করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাভি বলেন, রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি হামলাকবলিত ভবনটিকে একটি কারাগার হিসেবে শনাক্ত করেছে। এ ধরনের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বানানো ও সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ইয়েমেনের ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে হুথিদের হটিয়ে পুনরায় সাবেক ক্ষমতাসীনদের ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরব ও তার আঞ্চলিক কিছু মিত্র জোটবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে যুদ্ধের করাল গ্রাসে ভেঙে পড়েছে দেশটির অবকাঠামো। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে সেখানকার লাখ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এইচজে/এইচএ