সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ মধ্যস্থতাকারী জালমা খলিলজাদ। আগামী ২০ সপ্তাহের মধ্যে এসব সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
তবে এ বিষয়ে এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি আছে বলেও জানান তিনি।
সাক্ষাৎকারে খলিলজাদ প্রথমবারের মতো দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনার বিস্তারিত জানান। এর আগ পর্যন্ত কাতারে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে নয়টি বৈঠক হয়। পরে রোববার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও অন্য নেতাদের সংক্ষেপে এচুক্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানানো হয়।
টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে খলিলজাদ বলেন, যদি তালেবান গোষ্ঠী চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে তাহলে ১৩৫ দিনের মধ্যে পাঁচটি ঘাঁটি থেকে আমরা সেনা প্রত্যাহার করবো।
আফগানিস্তানে বর্তমানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। বাকি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি বর্তমান আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি আলোচনা, যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলেও জানানো হয়।
তালেবান এক মুখপাত্র সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে খলিলজাদের বক্তব্য সঠিক বলে বিবিসিকে নিশ্চিত করেন।
চুক্তি অনুসারে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে আগামীতে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা তার মিত্রদের আক্রমণে কেউ আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে পারবে না, তালেবানদের এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে হবে। এছাড়া সেখানে শান্তি রক্ষার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
এদিকে তালেবানরা ওই প্রস্তাবে সম্মত হলেও সোমবার খলিলজাদের সাক্ষাৎকার চলার সময় কাবুলে তাদের চালানো এক বোমা হামলায় ১৬ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। একের পর এক এ জাতীয় হামলায় শান্তি আলোচনার সুফল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে চুক্তির ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানার পর আফগান প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকি। তিনি বলেন, তালেবানরা যে শান্তি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এ ব্যাপারে সরকারের নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এইচজে/জেডএস