মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ভারতীয় দুর্বল জিডিপি তথ্য এবং মার্কিন ডলারের একটি শক্তিশালী বিস্তৃতি রুপির দরে প্রভাবে ফেলছে বলে মনে করছেন অনেকে।
মঙ্গলবার দিনের শুরুর দিকে এক ডলারের বিপরীতে ছিল ৭১ দশমিক ৯৭ রুপি। পরে সেটা গিয়ে উঠে রুপির ৭২ দশমিক ৩৬ পয়সায়। এর আগের দিন বাজার শেষ হয়েছিল ডলারের বিপরীতে ৭১ দশমিক ৪০ রুপির স্থিতিতে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিটে এক ডলারে রুপির ৭২ দশমিক ৩৫ পয়সা ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, রুপির দুর্বলতার কারণে ভারতের দেশীয় বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম চড়া রয়েছে। এজন্য ভুগছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক মাসে রুপির মান কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশি এক টাকায় পাওয়া যাচ্ছে রুপির ৮৫ দশমিক ১৮ পয়সা।
অপরদিকে, টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর আরও কমতে পারে বলে ওয়ালেট ইনভেস্টর নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ধারণা করছে। তারা বলছে, ২০২৪ সালের দিকে রুপি আর বাংলাদেশি টাকার মান সমান হয়ে যেতে পারে। এমনকি এক টাকায় বেশি রুপিও পাওয়া যেতে পারে।
ভারত সরকারের মতে, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ প্রকট হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার একাধিক দেশের মুদ্রার ওপর। ওই যুদ্ধের জেরেই ডলারের চাহিদা বেড়েছে প্রবলভাবে। ফলে কমছে ভারতীয় রুপির দর। একইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের শিল্পক্ষেত্রের মন্দা বাজারও।
ভয়াবহ এই অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বেশ উদ্বিগ্ন। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) থেকে এক লাখ ৭৬ হাজার কোটি রুপি নিয়ে এই আর্থিক সংকট মোকাবিলা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে মোদী সরকার।
বাংলাদেশ সময়; ১৫১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
টিএ