মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, প্রতিবেশীরা আবাসিক আইন লঙ্ঘন করছেন অভিযোগ করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের অধিবাসী সিলা কারডেন।
কিন্তু একটি ট্রাইব্যুনাল ও রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত তার অভিযোগ অযৌক্তিক এবং প্রমাণের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে সেটি বাতিল করে দেন।
অভিযোগে ওই নারীর দাবিগুলোর মধ্যে ছিল, তার পাশের বাড়িসহ আরেক প্রতিবেশীর আঙ্গিনায় অতিরিক্ত লাইটিং কমানো, তাদের পোষা প্রাণীদের হাঁকডাক বন্ধ করা, বাড়ির বাগানের গাছ বদলে ফেলা, বাচ্চারা বাগানে খেলার সময় যেন চুপচাপ থাকে প্রভৃতি।
গিরাহুইন শহরের বাসিন্দা সিলা কারডেন আদালতে অভিযোগ করেন, পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসা সিগারেট ও বারবিকিউয়ের গন্ধ তার ‘অসঙ্গত ক্ষতি’ করছে।
গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তিনি নাইন নিউজকে বলেন, তারা (প্রতিবেশী) বারবিকিউ করলে সারাক্ষণ মাছের গন্ধ পাই। আমি বাড়ির বাইরেও যেতে পারি না।
তবে, গত ফেব্রুয়ারিতে কারডেনের এ অভিযোগ খারিজ করে দেন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া।
এসময় ট্রাইব্যুনাল জানায়, তারা (প্রতিবেশীরা) বাচ্চাদের রাতে বাইরে যেতে দেন না, রাতে উঠান ব্যবহার করেন না, এমনকি সিলা কারডেনের অভিযোগের ভয়ে কয়েক মাস ধরে লাইটও জ্বালান না।
পরের মাসে ট্রাইব্যুনালের এ সিদ্ধান্ত ফের চ্যালেঞ্জ করেন অভিযোগকারী নারী। গত জুলাইয়ে এ আবেদন বাতিলের সময় আদালত জানান, সিলা কারডেনের আপিলে প্রায় চারশ’ পাতার অভিযোগ রয়েছে।
দু’বার অভিযোগ বাতিল হলেও এখনো হাল ছাড়তে নারাজ ওই নারী। এ বিষয়ে আরও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
একে