ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিদ্রোহীদের দাপটে আবারও হেরে গেলেন বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
বিদ্রোহীদের দাপটে আবারও হেরে গেলেন বরিস জনসন পার্লামেন্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে আগাম নির্বাচনের হুমকি কর্যকর করতে প্রস্তাব এনেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এটাতেও তিনি হেরে গেছেন হাসউ অব কমন্সে এমপিদের ভোটাভুটিতে। যদিও ব্রেক্সিট প্রশ্নে নিজেদের দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে বহিষ্কার করে দেওয়ার হুমকিটি কার্যকরে চিফ হুইপের প্রক্রিয়া চলছে।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) কমন্সে আগামী ১৫ অক্টোবর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব এনেছিলেন জনসন। যে প্রস্তাবটি বিরোধী দল তো বটেই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী এমপিরাও নাকচ করে দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিদ্রোহী ২১ এমপির ভোটে ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় হেরে যায় করজারভেটিভ সরকার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবে ভোট পড়েছে ৩৫৪টি। এর মধ্যে পক্ষে পড়ে ২৯৮ এমপির। বিপক্ষে ৫৬টি। কিন্তু প্রস্তাবটি পাস হওয়ার জন্য ভোট দরকার ছিল কমন্সের ৬৫০ সদস্যের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ আরও ১৩৬টি ভোট পক্ষে থাকলে হতো।

এছাড়া মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই পার্লামেন্ট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে নির্বাচন প্রস্তাব ইস্যুতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন প্রধান বিরোধী দল লোবার পার্টিসহ বেশ কয়েকটি পার্টির বেশিরভাগ এমপি।

দ্বিতীয়বারের মতো হেরে গিয়ে বরিস জনসন বলেন, প্রস্তাবটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার। একইসঙ্গে এখন এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল এই নির্বাচন।

কিন্তু লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কিত একটি খেলায় মেতেছেন’ বলে অভিযোগ এনে বলেছেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের (নো ডিল ব্রেক্সিট) বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আসছে। এই ব্রেক্সিটের দিকে না এগোনোর প্রস্তাবটি পাস হলেই পরবর্তী নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে। এর আগে নয়।

এদিকে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের চিন্তাধারার সমালোচনা করছে বিরোধী দল এসএনপি এবং লিবারেল ডেমোক্রেটস। দল দু’টি বলছে, যুক্তরাজ্য কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাবে (ব্রেক্সিট)- এটা নিশ্চিত ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্ত।

কিন্তু জনসনের সমর্থকরা বিরোধীদের দুই বছরের জন্য সাধারণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন।

ব্রেক্সিটের কারণে সাময়িক স্থগিত থাকার পর মঙ্গলবার আবার শুরু হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অধিবেশন। বেক্সিট কর্মসূচির নিয়ন্ত্রণ রাখতে ক্ষমতাসীন দলের ২১ এমপি বিরোধী দলের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেয়। এতে মঙ্গলবার কমন্সে ৩২৮ আর ৩০১ ভোটের ব্যবধানে হেরে যায় সরকার।

আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। যা নিয়ে এখন ব্রিটেনের রাজনীতিতে তুমুল উত্তেজনা।

অপরদিকে, ব্রেক্সিট ভোটের পরে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী এমপিদের হুইপ সরিয়ে ফেলবেন। তাদের বহিষ্কার করা হবে সংসদীয় দল থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এইচএডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।