সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে পাইলটদের এ ধর্মঘট শুরু হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত মাসেই (আগস্ট) দ্য ব্রিটিশ এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএলপিএ) বিএ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে জানিয়েছিল, তাদের অনুরোধ রাখা না হলে সেপ্টেম্বরে তারা তিন দিনের ধর্মঘটে যাবে।
তবে তাদের সতর্কতা সত্ত্বেও ব্যাপারটি গুরুত্ব দেয়নি বিএ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, পাইলটদের যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট। পাইলটদের বর্তমান দাবি যৌক্তিক নয়।
গত নয় মাস ধরেই বিএ কর্তৃপক্ষ এবং বিএ’র প্রায় সাড়ে চার হাজার পাইলটের মধ্যে বেতনসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। যার জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে।
এর মধ্যে গত জুলাই মাসে পাইলটদের বেতন পরবর্তী তিন বছরের জন্য সাড়ে ১১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বিএ কর্তৃপক্ষ, যা প্রত্যাখ্যান করেছে পাইলটরা।
এরপরই পাইলটদের সংগঠন বিএএলপিএ ধর্মঘটে যাবে বলে বিএ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে।
এদিকে দ্বন্দ্ব চলাকালীন প্রায়ই পাইলটদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়েও আসছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। হুমকিতে তারা বলেছিল, পাইলটরা যদি ধর্মঘটে যায়, তাহলে পাইলটদের এবং তাদের পরিবারের ফ্রি-তে ভ্রমণের যে সুবিধা, তা কেড়ে নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিএ’র এক মুখপাত্র জানান, তারা তাদের কোনো পদক্ষেপের জন্য অনুতপ্ত নয়। কারণ তারা যা করেছে, তা যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই করেছে।
বিএ কর্তৃপক্ষ ও বিএ’র পাইলট, এ দু’পক্ষের কোন্দলের জেরে শুক্রবারই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারও দু’পক্ষকে বৈঠকে বসে এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোর অনুরোধ জানান।
এসব ঘটনার জেরেই সোমবার থেকে টানা দুই দিনের (৪৮ ঘণ্টা) ধর্মঘট পালন করছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পাইলটরা। এছাড়া আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরও তাদের ধর্মঘটে যাবার কথা রয়েছে।
এদিকে ধর্মঘটকালীন এই ৪৮ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রায় এক হাজার ৭০০টি ফ্লাইট চলাচলের কথা ছিল। যার মধ্যে সোমবার ছিল ৮৫০টি। তবে পাইলটদের এ ধর্মঘটের কারণে ইতোমধ্যে সোমবারের ৮৫০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে বিএ কর্তৃপক্ষ।
নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করায় যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএ/