সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্ট অধিবেশনের পাঁচ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে বরিস জনসনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী এবং বিরোধীরা। যদিও বলা হচ্ছে, বিরোধীরা এই ভোটে অংশ না নিয়ে এর বিরোধীতা করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সোমবার বরিস জনসনের আগামা নির্বাচনের প্রস্তাবের পক্ষে সবমিলে ভোট দিয়েছেন মাত্র ২৯৩ জন এমপি। যে সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
এর আগে, বিরোধী দলের এমপিরা নিশ্চিত করেন, তারা ১৫ অক্টোবরের আগাম নির্বাচন সমর্থন করেন না। এসময় তারা জোর দিয়ে বলেন, চুত্তিহীন ব্রেক্সিটে না যাওয়ার আইন স্থগিত করার পরই একটি নির্বাচন হতে পারে। আইনটি প্রথমে স্থগিত করা উচিত।
সোমবার থেকে আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে পার্লামেন্ট অধিবেশন। ১৪ অক্টোবর আবার বসবে অধিবেশন। সোমবার অধিবেশন শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে কমন্সে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান হয়ে যায়।
এদিকে, সোমবার পার্লামেন্ট স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে একদল লেবার ব্যাকবেঞ্চার হাউস অব কমন্সে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। তখন ‘বিরক্তিকর’ পরিস্থিতি সামাল দেন স্পিকার জন বারকো। পার্লামেন্ট স্থগিত করা থেকে সরে আসেননি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যদিও এমপিদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়।
অপরদিকে, আগাম নির্বাচন হলে হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন। তবে সেটা না হলেও ৩১ অক্টোবর স্পিকার এবং এমপি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ যেটাই আগে আসে।
এর আগে ০৪ সেপ্টেম্বর ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে আগাম নির্বাচনের হুমকি কর্যকর করতে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব এনেছিলেন জনসন। যে প্রস্তাবটি বিরোধী দল তো বটেই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী এমপিরাও নাকচ করে দেন। এরও আগে ০৩ সেপ্টেম্বর বিদ্রোহী ২১ এমপির ভোটে ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় হেরে যায় করজারভেটিভ সরকার।
জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রথম প্রস্তাবে ভোট পড়ে ৩৫৪টি। এর মধ্যে পক্ষে পড়ে মাত্র ২৯৮ এমপির। বিপক্ষে ৫৬টি। কিন্তু প্রস্তাবটি পাস হওয়ার জন্য ভোট দরকার ছিল কমন্সের ৬৫০ সদস্যের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ আরও ১৩৬টি ভোট পক্ষে থাকলে হতো।
*** বিদ্রোহীদের দাপটে আবারও হেরে গেলেন বরিস জনসন
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
টিএ