রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে রুহানি বলেন, বিদেশি বাহিনী আমাদের অঞ্চল ও জনগণের সমস্যা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। অতীতে এখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েন ছিল ‘বিপর্যয়কর’।
আগের দিনই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার এক ঘোষণায় জানান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সাহায্য চেয়েছে। সেখানে সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন সেনারা সেখানকার আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় নজর দেবেন। এছাড়া, দুই দেশেই সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ বাড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানোর এ ঘোষণায় রুহানি আরও বলেন, তাদের মধ্যে যদি কোনো ছলবল না থাকে, তবে আমাদের অঞ্চলকে তাদের অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র বানানো উচিত হবে না। তোমরা (বিদেশিরা) যত আমাদের অঞ্চল ও দেশ থেকে নিজেদের দূরে রাখবে, এখানে তত বেশি নিরাপত্তা বজায় থাকবে।
বছরজুড়েই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা ও বাকযুদ্ধ চলছে। সপ্তাহকয়েক আগে জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন-তেহরানের উত্তেজনায় বাড়তি মাত্রা যোগ হয়। যুক্তরাষ্ট্র ওই ট্যাংকারকে আটক করতে একপ্রকার পা বাড়ালেও পরে পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে থাকেনি।
সেই উত্তেজনা না কাটতেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু সৌদি আরবের দু’টি প্রধান তেল স্থাপনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ড্রোন হামলা হয়। এই হামলার জন্য ইয়েমেনের শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করলেও সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, হামলার পেছনে হুথিদের সমর্থক ইরানই জড়িত।
এরপর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাদের দুই মিত্র সৌদি ও আমিরাতে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিলে ইরানের বিশেষায়িত বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি বলেন, ইরানকে যদি কোনো দেশ আক্রমণ করে, সেদেশকেই ‘মূল রণক্ষেত্র’ বানিয়ে ফেলা হবে।
হোসেইন সালামির ওই হুঁশিয়ারির পর প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে এ সতর্কতা দিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এইচএ/
** হামলাকারী দেশকে ‘মূল রণক্ষেত্র’ বানিয়ে ফেলা হবে: ইরান