সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ‘পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে দেশটির রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন প্রদেশে আয়োজিত কুচকাওয়াজে এসব অস্ত্র উন্মোচন করা হয়। ইরানের ওপর সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের আক্রমণ ও তেহরানের প্রতিরোধযুদ্ধের স্মরণে দেশব্যাপী ‘পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়, এ দিন ‘কাদের’, ‘এমাদ’, ‘সেজ্জিল’, ‘খোররামশাহর’ ও ‘কিয়াম’-সহ বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ১৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
কুচকাওয়াজে ‘হেইল’ নামে স্বল্প উচ্চতার একটি আর্টিলারি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও উন্মোচন করা হয় বলে খবরে জানানো যায়।
এছাড়াও এ দিন তেহরান নিজেদের প্রযুক্তিতে তৈরি ‘পাওয়ার ৩৭৩’ নামে সহজে বহনযোগ্য আরেকটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদর্শন করে। এটি রাশিয়ার এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার সমকক্ষ। এর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ‘সায়্যাদ’ উৎক্ষেপণ করা হয়। পাওয়ার-৩৭৩ তিনশ’ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। অনেক দূরে থাকতেই এটি শত্রুবিমান শনাক্ত করতে সক্ষম।
হরমুজ প্রণালীসহ উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে মূলত সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই তেহরান নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও টর্পেডো সংযুক্ত করলো।
সম্প্রতি সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার অভিযোগে ট্রাম্প তেহরানকে যুদ্ধের হুমকি দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানি এক কমান্ডার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আশপাশের দুই হাজার কিলোমিটার জুড়ে থাকা মার্কিন স্থাপনায় হামলা চালানোর পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন। স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ উদ্বেগ রয়েছে। তেহরানের এ সক্ষমতাকে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এইচজে