মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রেক্সিটের এক মাসেরও কম সময় বাকি থাকতে এই স্থগিতাদেশটি অবৈধ বলে রায় দেন আদালত।
এর আগে ব্রেক্সিটের চাপের মুখে ‘প্রোরোগেশন’ (সরকারের যে সিদ্ধান্তে আইনপ্রণেতাদের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকে না এমন ব্যবস্থা) ব্যবস্থার মাধ্যমে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করেন বরিস জনসন।
এদিকে, স্থগিতাদেশ অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় অধিবেশন এখন চলমান। এবার কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদে যাওয়া বা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পারেন বিরোধী-বিদ্রোহী এমপিরা।
ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে বরিস জনসন পার্লামেন্ট স্থগিত করেছিলেন পাঁচ সপ্তাহের জন্য। যা অবৈধ। কেননা, আগামী ৩১ অক্টোবর হতে যাওয়া চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের দৌড়ে দায়িত্ব পালন করা এমপিদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এমপিরা দায়িত্ব পালনের জন্য আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হ্যালে বলেছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে দেশের গণতন্ত্রের মূল বিষয়গুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
এর আগে জনসন যুক্তি দিয়েছিলেন, তিনি রানির বক্তৃতার ভিত্তিতেই প্রোরোগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়েছিলেন। যেন তার সরকারের নতুন নীতিগুলোর সুন্দর রূপরেখা তৈরি হয়।
কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, বরিস জনসন হাউস অব কমন্সের সদস্যদের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার যাচাই-বাছাই করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন>> চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে খাদ্যাভাবে ভুগবে ব্রিটেনের মানুষ!
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
টিএ