গত মাসে শ্রীলংকার ঐতিহ্যবাহী পেরেহেরা উৎসবে রংবেরঙের কাপড় পরিয়ে হাঁটানো হয়েছিল ৬০টি হাতিকে। তাদের মধ্যেই ছিল তিকিরি।
পরে, সেভ এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশন (এসইএফ) নামে একটি সংস্থা হাতিটির দুরবস্থার কিছু ছবি প্রকাশ করলে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় কঠোর সমালোচনা।
শ্রীলংকার পর্যটন মন্ত্রীও স্বীকার করতে বাধ্য হন, শীর্ণকায় হাতিটিকে র্যালিতে নেওয়া উচিত হয়নি। পরে, মালিকের কাছে ফেরত পাঠানো হয় বৃদ্ধ তিকিরিকে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হাতিটি মারা গেছে।
গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে এসইএফের প্রতিষ্ঠাতা লেক শেলার্ট বলেন, তিকিরির কষ্ট শেষ হয়েছে, তার আত্মা এখন মুক্ত। আর কোনো অনিষ্ট তার কাছে আসতে পারবে না।
‘শান্তিতে থাকো (রেস্ট ইন পিস) প্রিয় তিকিরি। তোমার ও তোমার বন্ধুদের জন্য নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর দিকে আর কখনো ফিরে তাকিয়ো না। ’
গত আগস্টে এসইএফ পোস্ট করা ছবিতে হাড়গোড় বের হওয়া তিকিরিকে বাহারি রংয়ের কাপড় পরিয়ে ক্যান্ডির ওই উৎসবে যোগ দিতে দেখা যায়।
তবে, উৎসবের আয়োজক বৌদ্ধ মন্দিরের এ মুখপাত্র জানান, বৃদ্ধ হাতিটির হজম সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। এজন্যই তার ওজন কমে গিয়েছিল।
তবে, এতে তিকিরির শক্তি-সামর্থ্য কমেনি বলেই দাবি করেছিলেন তিনি।
রুগ্ন হাতিটির ছবি প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে তাকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। তবে, এসময়ও তার দুর্দশা কমেনি বলে জানায় এসইএফ।
চলতি মাসের শুরুর দিকে এক পোস্টে তারা জানায়, তিকিরিকে নিয়ে গিয়ে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তার ভবিষ্যৎ নিরানন্দই থেকে গেছে।
পশু অধিকার বিষয়ক সংগঠন পেটা জানিয়েছে, শ্রীলংকায় আরও অসংখ্য হাতি রয়েছে, যাদের অবস্থা তিকিরির মতোই করুণ। প্রাণী রক্ষায় আরও কঠিন নিয়মের দাবিসহ যেসব এলাকায় হাতির ওপর নির্যাতন হয়, পর্যটকদের সেসব এলাকা পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
একে