মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এ ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত শচীন ও বিক্রমকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে এসআইটি।
এর আগে, একটি ভিডিও ক্লিপের যোগসূত্র ধরে এ তিনজনকে হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা। ওই ভিডিওতে সাবেক মন্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবির বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে।
এসআইটি প্রধান নবীন অরোরা জানিয়েছেন, তিন অভিযুক্তই চাঁদার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে, ধর্ষণের অভিযোগ তোলা শিক্ষার্থী এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
২৩ বছর বয়সী এ তরুণী বলেন, চিন্ময়ানন্দের হাত থেকে বাঁচতে যারা সাহায্য করেছে, তারা আমাকে ব্যবহার করছিল- সেটা জানতাম না। চাঁদাবাজির মামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মনে হয়, আমার ধর্ষণের অভিযোগ হালকা করতেই এই নাটক করা হচ্ছে।
এদিকে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিজেপির প্রভাবশালী নেতা চিন্ময়ানন্দের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের আদালত। তার পরিচালিত একটি কলেজের আইনের ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের অভিযোগে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করা হয় তাকে।
গত মাসের শেষ দিকে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন ওই শিক্ষার্থী। পাশাপাশি, পুলিশ ধর্ষণের মামলা না নেওয়াসহ এক প্রভাবশালী নেতা খুনের হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তার অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর সপ্তাহখানেক মেয়েটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে, পুলিশি পাহারায় আদালতে জবানবন্দি দেন ওই শিক্ষার্থী।
তিনি অভিযোগ করেন, কলেজে ভর্তি হতে সহযোগিতার কথা বলে এক বছর ধরে তার ওপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তার গোসলের ভিডিও ধারণ করে তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইলও করা হচ্ছে। এমনকি, বন্দুকের ভয় দেখিয়ে চিন্ময়ানন্দ জোর করে শরীর ম্যাসাজ করিয়েছেন বলেও অভিযোগও করেন তিনি। পরে, চশমায় ক্যামেরা লাগিয়ে নির্যাতনের প্রমাণ জোগাড় করতে চেয়েছিলেন বলে জানান এ তরুণী।
গত শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করানোর কথা স্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ। এ ঘটনার জন্য অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
একে