বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা কীভাবে চুপ থাকতে পারেন, যখন ৮০ লাখ মানুষের সঙ্গে পশুর চেয়ে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে? সত্যি বলতে, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে হতাশ। যদি ৮০ লাখ ইউরোপীয়, ইহুদি বা আমেরিকান অবরুদ্ধ থাকতো… এমনকি অন্তত আটজন আমেরিকানকে অবরুদ্ধ করে রাখা হতো.. এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কল্পনা করুন।
কাশ্মীর অঘোষিত জেলখানায় পরিণত হয়েছে দাবি করে ইমরান বলেন, ১০০ কোটি মুসলমান এটা দেখছে. কিন্তু, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোথায়? আমি এখনই সতর্ক করছি, এর প্রতিক্রিয়া আসবে ও মৌলবাদ সৃষ্টি হবে।
কাশ্মীরের কারফিউ তুলে দেওয়ার পর কী পরিস্থিতি হবে, তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমার ভয়, কারফিউ তুলে দেওয়ার পর সেখানে মোতায়েন নয় লাখ সেনা সদস্য দিয়ে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড শুরু হবে। কাশ্মীরের মানুষেরা কি এটা মানবে? এর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ও দায়ী থাকবে।
ইমরান বলেন, আমার আরও ভয়, কাশ্মীরিদের সঙ্গে যা-ই ঘটুক, তার জন্য ভারত আমাদেরই দোষারোপ করবে। যেমনটা হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে (পুলওয়ামায়) এক কাশ্মীরি ছেলের দ্বারা সেনাদের ওপর হামলার পর। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম, প্রমাণ দেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু, প্রমাণ দেওয়ার আগেই ভারতীয় যুদ্ধবিমান হাজির, তারা আমাদের ওপর বোমা ফেললো।
এসময়, ভূপাতিত ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট অভিনন্দনকে আটকের পর ভদ্রতা-স্বরূপ ফিরিয়ে দিলেও বিষয়টিকে তারা পাকিস্তানের দুর্বলতা ভেবেছে বলে আক্ষেপ করেন ইমরান খান।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে এখন নিউইয়র্কে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
একে