বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মালাকু সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে প্রাদেশিক রাজধানী অ্যামবনের ৩৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূ-পৃষ্ঠের ২৯ কিলোমিটার গভীরে এটি আঘাত হানে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে অ্যামবনসহ প্রদেশের বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমের কর্মী বেনি বুগিস জানান, স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একাংশ ধ্বসে পড়ে। এতে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও দু’জন।
অ্যামবনের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা আলবার্ট সিমায়েলা বলেন, লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে মোটরসাইকেল বা গাড়িতে চড়ে অথবা পায়ে হেঁটে নিকটস্থ পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। কোনো সুনামি সতর্কতা না থাকলেও লোকজন এমনই ভয় পেয়েছে, তারা অ্যামবন ছেড়ে যাওয়ায় গোটা শহর সুনশান হয়ে পড়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেই মালাকুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে এক সুনামি তৈরি হয়, যাতে প্রায় ৪ হাজার জনের প্রাণহানি হয় বলে বেসরকারিভাবে জানা যায়।
২০০৪ সালে প্রচণ্ড মাত্রার ভূমিকম্পের পর ভারত মহাসাগর থেকে ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি দেশে আছড়ে পড়ে সুনামি। এতে কেবল ইন্দোনেশিয়ায় প্রাণ হারায় ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে সোয়া দুই লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এইচএ/