গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্যকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
একই দিনে রুহানির আগে জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরে বক্তব্য দিতে উঠে ইরান প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এসময় পাল্টা জবাবে রুহানি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আজকের দিনে আমেরিকাই আমাদের অঞ্চলে সন্ত্রাসের প্রধানতম মদতদাতা। আমেরিকা যেখানেই গেছে সন্ত্রাস জেগে উঠেছে। অন্যদিকে আমরা যেখানেই গেছি, সন্ত্রাসকে পদানত করেছি।
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের অনুমতি ছাড়াই মার্কিন সেনা মাঠে নামানো মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার চলমান সন্ত্রাসের একটি উদাহরণ উল্লেখ করে রুহানি বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে মিস্টার ট্রাম্পের ব্যাখ্যা শুনে হতভম্ব। '
একই দিনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্সনিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ যাত্রায় জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনা নিরসনে ট্রাম্পের সঙ্গে কোনো বৈঠকে মিলিত হবেন কিনা জানতে চাইলে রুহানি বলেন, ইরানের ওপর থেকে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে বিবেচনাও করবেন না। এ সময় ইরানের ওপর চাপানো মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অমানবিক ও এক ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেন রুহানি।
এদিকে এ যাত্রায় ট্রাম্প ও রুহানির বৈঠক না হলে উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তেজনা নিরসনে বিশাল একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ দুই নেতার বৈঠকের ব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশ্বনেতারা।
সাক্ষাৎকারে ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার ঘটনায় তেহরান জড়িত কিনা জানতে চাইলে রুহানি তা পুরোপুরি অস্বীকার করেন। সেটি এককভাবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এইচজে