কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বরিসের ‘কূটকৌশলে’ বাগড়া দিয়েছেন ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট। এদিন ঐতিহাসিক এক রায়ে বরিসের পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে রায় দেন আদালত।
দেশে ফিরেই বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দেন বরিস জনসন। সেখানেই বক্তব্যের সময় সর্বোচ্চ আদালতের রায়কেও ‘ভুল’ বলে দাবি করেন তিনি। আদালতের রায় নিয়ে তার এ ধরনের মন্তব্যে বিরোধীদের চক্ষু রীতিমতো চড়কগাছ। একে বরিসের ‘ঔদ্ধত্য’ হিসেবে দেখছেন তারা।
এদিন হাউজ অব কমন্সে (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) এমপিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভয়াবহ এক জাতীয় অচলাবস্থার মুখে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সুপ্রিম কোর্টের এ রায় একটি ভুল। ’
এ সময় আদালতে সরকারের পরাজয়ের পরও বরিসের মধ্যে কোনো অনুশোচনা না দেখে অবাক বনে যান এমপিরা। তারা এ ধরনের মন্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্য’ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির র্যাচেল রিভস এদিনের পার্লামেন্টকে ‘ভয়াবহ আর দর্শনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আরেক এমপি জেস ফিলিপস বলেন, আদালতের রায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের কাছে ‘ভয়ঙ্কর’ হয়ে দেখা দিয়েছে। এজন্য তার মাফ চাওয়া উচিত।
স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোয়ানা চেরি বলেন, কোনো অযোগ্য স্বৈরাচারীর কাছে যে রকম গলাবাজি প্রত্যাশা করা যায় এদিন পার্লামেন্ট তেমন অবস্থার মুখে পড়ে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক বলেন, এদিন হাউজ অব কমন্স একটা হৈ-হল্লার জায়গায় পরিণত হয়। সব পক্ষই যার যার মতো কথা বলছিল।
এদিকে এদিন বক্তব্যের সময় পার্লামেন্টের ছোট দলগুলোকে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়ে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বানও জানান বরিস।
কিন্তু নতুন নির্বাচন চাইলেও বিরোধীরা বলছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকরের ব্যাপারটি বাতিল না করা পর্যন্ত তারা এতে আগ্রহী নয়। সবার আগে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এইচজে/এইচএ