শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্টেনা ইম্পেরো ইরানের আব্বাস বন্দর ত্যাগ করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জুলাইয়ের শুরুতে জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে ব্রিটেনের রয়্যাল নৌবাহিনী ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটক করে। এরই প্রতিক্রিয়ায় দুই সপ্তাহ পরে হরমুজ প্রণালী থেকে নৌ-চলাচল আইন ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটেনের ট্যাঙ্কারটি আটক করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। গত মাসে ইরানের ওই ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
স্টেনা ইম্পেরোর মালিকপক্ষের প্রধান নির্বাহী এরিক হানেল জানান, জাহাজটি চলতিপথে আছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশের পর আমরা পরবর্তী তথ্য জানাবো। জাহাজের ২৩ ক্রুর মধ্যে আগেই ৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে ইরান।
স্বাভাবিক গতিতে ট্যাঙ্কারটি বর্তমানে আড়াইশ’ কিলোমিটার দূরবর্তী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে বলে খবরে জানানো হয়। গন্তব্যে পৌঁছাতে এটির আধা দিনের মতো লাগবে।
ইরানের হরমুজগান প্রদেশের বন্দর ও সমুদ্র সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে স্টেনা ইম্পেরো আব্বাস বন্দর ছেড়ে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার দিকে এগিয়ে যায়। ইরানের জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে জাহাজটির বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানায় তারা।
এর আগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্রিটিশ জাহাজটির আটকাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তদন্ত চালু আছে।
১৯ জুলাই ব্রিটিশ এ জাহাজ আটকের ঘটনায় যুক্তরাজ্য ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এর আগে থেকেই মে ও জুন মাসে উপসাগরীয় জলপথে ট্যাঙ্কারে হামলার ঘটনায় এ অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ওইসব হামলার জন্য তেহরানকে অভিযুক্ত করে। কিন্তু তেহরান এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
গত বছর ট্রাম্প ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয়শক্তিধর দেশের সঙ্গে ইরানের হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একপাক্ষিকভাবে বেরিয়ে যায়। শুধু তা নয়, এরপর তিনি ইরানের ওপ্র একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকেন। তখন থেকেই এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। এতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এইচজে