শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অ্যালাইস ওয়েলস প্রশ্ন তুলেছেন, চীনে অন্তত ১০ লাখ উইঘুর ও তার্কিশ-ভাষী মুসলমান মানবেতর জীবনযাপন করলেও তা নিয়ে কখনো কিছু বলেন না কেন ইমরান খান?
জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের জেরে ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। উপত্যকার মুসলমানদের বন্দি করে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অসংখ্যবার অভিযোগ করেছেন ইমরান খান।
এ ঘটনা উল্লেখ করে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অ্যালাইস ওয়েলস বলেন, পশ্চিম চীনে বন্দিদশায় থাকা মুসলমানদের বিষয়েও আপনার একই ধরনের উদ্বেগ দেখলে ভালো লাগতো। কাশ্মীরের চেয়ে সেখানকার মুসলমানদের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ আরও বেশি হওয়ার কথা।
চীন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগী দেশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ইমরান খানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
চীনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে তিনি জানান, উইঘুর ইস্যু নিয়ে জনসমক্ষে কোনো কথা বলবেন না।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, চীনে উইঘুরসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০ লাখেরও বেশি মুসলমানকে অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পে কড়া নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। শুরুর দিকে এসব ক্যাম্পের অস্তিত্ব সরাসরি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সেগুলোকে ‘কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র’ বলে দাবি করে চীন। ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাস রোধে এসব ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
একে