রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে এসব কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুতনিক থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইমরান খান বলেন, বিশ্ববাসী কাশ্মীরীদের পাশে দাঁড়াক বা না দাঁড়াক, পাকিস্তান তাদের পাশে দাঁড়াবে। এ এক পবিত্র যুদ্ধ। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, কেননা আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি চাই।
‘আমি সব মহলে নরেন্দ্র মোদীর রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ (আরএসএস) সরকারের মুখোশ খুলে দেবো। ’
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের ভুমিকা নিয়ে দেশবাসীকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইমরান বলেন, ভারতশাসিত কাশ্মীরে ৮০ লাখ মানুষকে সেনা ঘেরাটোপে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। কাশ্মীরীরা যেহেতু আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, আমি তাদের দূত হওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও বরাদ্দের অতিরিক্ত সময় নিয়ে দেওয়া বক্তৃতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর থেকে ভারতকে ‘অমানবিক কার্ফিউ’ তুলে নিতে ও ‘রাজনৈতিক বন্দিদের’ মুক্তি দিতে জোরালো তাগিদ দেন। অন্যথায় পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ কোনোভাবে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের বাইরেও তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে হুঁশিয়ারি জানান তিনি।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পর থেকে ভারত সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছেন ইমরান খান। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে তার সরকার জাতিসংঘ থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। পরমাণু অস্ত্রধারী ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে এ পর্যন্ত দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এইচজে