মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হলে আয়ারল্যান্ড সীমান্তে কাস্টমস চেক ব্যবস্থা বসানোর প্রয়োজন পড়বে। তবে এই কাস্টমসের মাধ্যমে ব্রিটেন-আয়ারল্যান্ড সীমান্তে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা বসানোর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
কাস্টমস বসানোর বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিজস্ব কাস্টমস ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
বিস্তারিত জানাতে তিনি অস্বীকার করলেও শিগগির তিনি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব তৈরি করবেন বলে জানান।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রেক্সিটের সঙ্গে কোনো চুক্তি হোক বা না হোক, নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। যদিও তিনি এখন পর্যন্ত এ পরিকল্পনার কিছুই করতে পারেননি।
হাউস অব কমন্সে বিরোধী-বিদ্রোহীদের দাপটে বারবার হেরে যেতে হচ্ছে তাকে। এমনকি ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় এগোতে তিনি পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার যে সুকৌশল বেছে নিয়েছিলেন, সেটিও ‘ভেঙে’ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে জনসনের এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
এদিকে, আইরিশ সংবাদ সংস্থা আরটিই জানিয়েছে, ব্রেক্সিটের পর সম্ভবত সীমান্তের পাঁচ থেকে ১০ মাইলের মধ্যে এই কাস্টমস পোস্টগুলো বসবে।
কিন্তু আইরিশ উপ প্রধানমন্ত্রী সাইমন কভনে এই পরিকল্পনাকে ‘অবাস্তবায়নযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড ব্রিটেনের কাছ থেকে আরও ভালো কিছু পাওয়ার অধিকারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
টিএ