বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মালি সরকারের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বুরকিনা ফাসোর সীমান্তবর্তী বোলকেসি ও মন্দোরো শহরের দুই সেনাফাঁড়িতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, দুটি সেনাফাঁড়িই পুনর্দখল করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর হাতে এ সময় ১৫ জঙ্গি নিহত হন। কিন্তু এ হামলার ঘটনায় বিপুল পরিমাণ সরকারি অস্ত্র খোয়া গেছে।
চলতি বছরে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি ভয়াবহতম হামলাগুলোর একটি। এরপরপরই ওই এলাকায় ফরাসি বাহিনী ও বুরকিনা ফাসোর সঙ্গে মিলিত হয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে দেশটি।
এ হামলার ঘটনায় ইসলামি চরমপন্থি সংগঠন ‘আনসারুল ইসলাম’র সদস্যদের দায়ী করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে জনপ্রিয় ও চরমপন্থি ইসলামি বক্তা ইব্রাহিম মালাম দিকোর নেতৃত্বে এ সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে ২০১২ সালে ইব্রাহিম দেশটির উত্তরাঞ্চলে ইসলামি চরমপন্থিদের সঙ্গে একজোট হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
২০১২ সাল থেকেই বিভিন্ন ‘জিহাদি গোষ্ঠীর’ হামলা ও জাতিগত সহিংসতার শিকার মালি। সে বছরই ইসলামি চরমপন্থিরা দেশটির উত্তরাঞ্চল দখলে নেয়। এরই জেরে পরবর্তীতে ওই অঞ্চলে সামরিক হস্তক্ষেপ চালায় ফ্রান্স। চরমপন্থিদের মোকাবেলায় ফ্রান্সের সমর্থনে মালি, বুরকিনা ফাসো, চাদ, নাইজার ও মৌরিতানিয়া একজোট হয়ে জি৫ সাহেল বাহিনী গঠন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এইচজে