বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে নাসিরিয়া ও আমারা শহরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, বুধবার রাতে নাসিরিয়া শহরে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ৭ বিক্ষোভকারী ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। অপরদিকে আমারা শহরে আরেক সহিংসতায় আরও ৪ জন নিহত হন।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানী বাগদাদে কারফিউ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি। কারফিউ ঘিরে সকালে সেনাদের টহল দিতে দেখা যায়। এরপরও বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদে অংশ নেয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সম্প্রতি চাকরির দাবি ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাগদাদে ছোটখাটো কিছু প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরই মাঝে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক সমাবেশে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হলে দ্রুতগতিতে পরিস্থিতি সহিংসতার দিকে মোড় নেয়। ওইদিন নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের ওপর জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুঁড়লে অন্তত ২ ব্যক্তি নিহত হন। পরের দিন বুধবার সংঘর্ষে ১ শিশুসহ নিহত হন আরও ৫ জন। এছাড়া আহত হন শত শত বিক্ষোভকারী।
কারফিউ ঘিরে সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, পর্যটক, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ ও পানি বিভাগের সরকারি কর্মচারী ও ধর্মীয় বিভিন্ন স্থানের তীর্থযাত্রীরা এ কারফিউর আওতায় পড়বে না। এছাড়া রাজধানীর বাইরে অন্য কোনো প্রদেশে কারফিউ জারি করা হবে কিনা সে ব্যাপারে প্রাদেশিক সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
এক বছর আগে সরকারে বসা প্রধানমন্ত্রী আব্দুল মাহদির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এইচজে