বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে রাজধানী বাগদাদে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বেকারত্ব, দুর্নীতি, ঘুষ ও নিম্নমানের সরকারি সেবার সমাধান চেয়ে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিক্ষোভ শুরু করেন ইরাকিরা।
এই পরিস্থিতিতে ইরাককে ধ্বংসস্তূপ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তবে, ঘুষ ও দুর্নীতির মতো সমস্যার সমাধান হঠাৎ করে সম্ভব নয় জানিয়ে সরকারকে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভাষণে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনার জন্য সংসদীয় জোটকে নির্দেশ দেন আদেল আব্দুল মাহদি। পাশাপাশি, দরিদ্র পরিবারগুলোকে মাসিক সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে, সব প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নিজ দেশের পতাকা হাতে এখনো রাস্তায় অবস্থান করছেন তারা। হতাহতের ঘটনায় শিয়া অধ্যুষিত শহরগুলোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইরাক সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
একে