শুক্রবার (৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান এ আইনটি বাতিল করেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, এ আইনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে নিউজিল্যান্ডে শরণার্থী প্রবেশে বাধা তৈরির বিষয়ে অভিবাসনপন্থিরা প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
চলতি বছরের মার্চে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পর আক্রান্ত অভিবাসীদের সহানুভূতি জানিয়ে সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। আর এ আইনটি বাতিল করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও বেশি সহানুভূতি লাভ করবেন তিনি এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
পূর্ববর্তী ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্বাধীন মধ্য-ডান ধারার সরকারের তৈরি করা এ আইন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর অভিবাসী ও শরণার্থীরা শুধু তাদের কোনো আত্মীয় নিউজিল্যান্ডে থাকলে দেশটিতে অভিবাসনের সুযোগ পেতেন।
অভিবাসন সহায়ক দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নেওয়া আইন বাতিলের এ পদক্ষেপের কারণে মিত্রদের চাপের মুখে পড়তে পারেন জেসিন্ডা। তার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টি ইতোমধ্যে আইনটি বাতিলের বিরোধিতা করেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে এ আইনটি বাতিলের জন্য শরণার্থী অভিবাসনপন্থিরা প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তারা একে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তুলনা করেন।
বাতিল হওয়া এ আইনের আওতায় বার্ষিক এক হাজার শরণার্থীর কোটায় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ১৪ শতাংশ শরণার্থী নিউজিল্যান্ডে অভিবাসনের সুযোগ পেতো। কিন্তু আইনটির বিদ্যমান শর্তের কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শরণার্থী নিউজিল্যান্ডে অভিবাসনের সুযোগ পেতে ব্যর্থ হন।
এ আইনের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আফ্রিকা থেকে মাত্র চারজন শরণার্থী নিউজিল্যান্ডে আশ্রয় পেয়েছিলেন।
তবে এসময়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে গ্রহণ করা শরণার্থীদের সংখ্যা বেশি হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ডে সিরীয় শরণার্থী নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ান লিস গ্যালোওয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে পনেরো শতাংশ হারে শরণার্থী নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এশিয়া-প্যাসেফিক অঞ্চল থেকে পঞ্চাশ শতাংশ এবং আমেরিকা থেকে বিশ শতাংশ হারে অভিবাসী ও শরণার্থী নেওয়া হবে।
প্রায় ৪৮ লাখ অধিবাসীর দেশ নিউজিল্যান্ড প্রতিবছর এক হাজার অভিবাসী নেয়। ২০২০ সালে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০০ জন করা হবে বলে জানান ইয়ান লিস।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এবি/এইচএডি