ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসি জানায়, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে যে কোনো ধরনের মুখোশ পরায় নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই ফের রাজপথে নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। অফিসের সময় শেষ হওয়ার আগেই বিক্ষোভে যোগ দেন অসংখ্য চাকরিজীবীও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মুখোশ পরার বিরুদ্ধে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের ঘোষণাই আন্দোলনে নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে। শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর পরই মিছিল বের করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় চীনবিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি উত্তেজিত হয়ে দেশটির পতাকায় আগুন ও বিভিন্ন সড়ক অবরোধসহ বেশকিছু দোকান ভাঙচুর করেন তারা। পরে, পরিস্থিতি আংশিক নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় নিরাপত্তা বাহিনী।
এক বিক্ষোভকারী অভিযোগ করেন, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বিক্ষোভ অন্য শহরে ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় হংকংয়ের রেলওয়ে অপারেটর সার্ভিসকে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এমনকি আঞ্চলিক রেল সেবাও সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। শনিবার (৫ অক্টোবর) রেলসেবা ফের চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
দেশটির এক রেলকর্মী জানান, রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণার পর স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
অপরাধী প্রত্যর্পণ নিয়ে একটি প্রস্তাবিত বিল বাতিলের দাবিতে গত চারমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে চীনের অধীনে থাকা অঞ্চলটিতে। শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
একে