শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এই বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, আগামী ৩ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর হবে। তবে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা অভিবাসীরা এই আইনের বাইরে থাকবে। এছাড়া আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ও ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিমা করার প্রয়োজন নেই। তবে তাদের স্বজনদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসা বিল পরিশোধ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে পরিবারভিত্তিক নয়, বরং মেধাভিত্তিক প্রকল্পের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঘোষণাপত্রটিতে সইয়ের মধ্য দিয়ে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ২০২০ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের পুনর্বাসনের সংখ্যা ১৮ হাজারে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। যা আধুনিক শরণার্থী কর্মসূচির ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক ডেমোক্রেট নেতা ও ‘বাউন্ডলেস ইমিগ্রেশন’ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডগ র্যান্ড। তিনি বলেন, এই আইন কার্যকর হলে অনেকেই নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
এসএ/