সোমবার (৭ অক্টোবর) পাকিস্তানি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ফ্রাইডে টাইমস’র বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, এবার জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে সৌদি আরব সফরে ছিলেন ইমরান খান।
সে সময় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, সৌজন্যের নিদর্শন হিসেবে সৌদি যুবরাজ অতিথিকে বাণিজ্যিক বিমানের বদলে ব্যক্তিগত জেট ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে ওই জেটে করেই নিউইয়র্ক যান ইমরান।
২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে ওই একই জেটে করে নিউইয়র্ক থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ইমরান খানসহ পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল। কিন্তু ফিরতি পথে জেটটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় পুনরায় নিউইয়র্কে ফিরে একটি বাণিজ্যিক বিমানে করে দেশে ফেরেন তারা।
কিন্তু, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ফ্রাইডে টাইমসের এক খবরে এর সম্পূর্ণ বিপরীত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, নিউইয়র্কে পাক প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু কূটনৈতিক তৎপরতায় উপেক্ষিত বোধ করেন মুহম্মদ বিন সালমান।
ম্যাগাজিনটি জানায়, জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ইসলামি বিশ্বকে যৌথভাবে উপস্থাপনের ব্যাপারে আলোচনা করেন ইমরান খান। সে সময় বিশ্বব্যাপী ইসলামভীতি মোকাবেলায় ইংরেজি ভাষায় একটি টেলিভিশন চ্যানেল চালুর ব্যাপারেও কথা বলেন তারা। এটিকে ভালো চোখে দেখেননি এমবিএস।
এছাড়া নিউইয়র্কে অবস্থানকালে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের অনুরোধে উপসাগরীয় উত্তেজনা প্রশমনে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতার কাজ করছেন তিনি। স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া ইরানের ব্যাপারে পাকিস্তানের এ আগ্রহেও অখুশি হন সৌদি যুবরাজ।
এসবের সূত্র ধরেই ফিরতি পথে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলকে ব্যক্তিগত জেট থেকে নামিয়ে দিয়ে সৌদি যুবরাজ দৃশ্যত ইমরান খানকে তিরস্কার করেন বলে ফ্রাইডে টাইমসের দাবি।
এদিকে ম্যাগাজিনটির এমন দাবিকে ‘কল্পিত কাহিনী’ বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান সরকারের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান। এরদোগান ও মাহাথিরের সঙ্গে ইমরান খানের বৈঠক সম্পূর্ণ কাল্পনিক। রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এবি/এইচজে