সোমবার (৭ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, রোববার (৬ অক্টোবর) পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন করে ১৫জন নিহত হন।
রয়টার্স জানায়, রোববার রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে অন্তত ৩শ’ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। পরে তা তাহরির স্কয়ারের দিকে এগতে শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। সে সময় বাধা উপেক্ষা করেও মিছিলটি এগোতে চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি ছোড়ে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি ছোড়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি ইরাক সরকারের। এদিন সরকারের মুখপাত্র সাদমান জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। বিক্ষোভকারী নিহতের ঘটনায় অন্য কোনো গোষ্ঠী জড়িত রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি অর্ধ শতাধিক স্থাপনায় আগুন দেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের নিন্দা করেন সরকারের এ মুখপাত্র।
এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) এক ঘোষণায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরাসরি আলাপের আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রি আদিল আব্দুল মাহদি। তবে সেদিন আর আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে রোববার এ পরিস্থিতি নিয়ে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সে সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির সরকারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা রয়েছে বলে জানান পম্পেও। এছাড়া একই দিনে দ্রুত সংকট নিরসন অ মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে ইরাকের প্রতি আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
বেকারত্ব, দুর্নীতি, ঘুষ ও নিম্নমানের সরকারি সেবার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে এ বিক্ষোভ চলছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৯
কেএসডি/এইচজে