দেশদ্রোহ মামলা থেকে বাঁচতে ২০১৬ সালের মার্চে দুবাই পাড়ি জমিয়েছিলেন পারভেজ মোশাররফ। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় গত বছর রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি।
সোমবার (৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর এই প্রথম এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, কাশ্মীর পাকিস্তানের রক্তে মিশে আছে। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের পাশে সবসময় আছি।
২০ বছর আগের কারগিল যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ইসলামাবাদ শান্তির প্রস্তাব দিলেও দিল্লি বারবার উল্টো হুমকি দিচ্ছে। তবে, পাকিস্তানের শান্তি প্রত্যাশাকে তাদের দুর্বলতা মনে করা উচিত হবে না।
সংবিধানবিরোধী কাজের অভিযোগে ২০০৭ সালে দেশদ্রোহের মামলা হয় পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকেই তিনি দুবাইতে বসবাস করছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে শিগগিরই রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে ‘অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ’ (এপিএমএল)-এর চেয়ারম্যানের।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন মোশাররফ। পরবর্তীতে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও ‘লাল মসজিদ’ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পলাতক আসামি ঘোষণা করা হয় ৭৬ বছর বয়সী এ নেতাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এফএম/একে