মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় উইঘুরদের নিপীড়নে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির ২৮টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার পর নতুন এই বিবৃতি দিল ওয়াশিংটন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেন, চীন সরকার ‘তীব্র নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডে’ জড়িত। উইঘুর, কাজাখ, কিরগিজসহ অন্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটির সরকার। বন্দিশিবিরে আটকে রেখে তাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় চর্চায় অন্যায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের কড়া নজরদারিতে রেখেছে চীন। বলপ্রয়োগ করে অন্য দেশ থেকে চীনের বিপদজনক পরিস্থিতিতে ফিরতে বাধ্য করা হচ্ছে অনেককে।
যদিও চীন বরাবরই এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গ্যাং শুয়াং বলেন, চীনে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে না। এসব অভিযোগের অজুহাত দেখিয়ে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। উদ্বেগ মোকাবিলায় এ সপ্তাহের শেষদিকে আলোচনার জন্যে ওয়াশিংটনে যাচ্ছে একটি চীনা প্রতিনিধিদল।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, চীনের অধীনে থাকা স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। তারাসহ অন্য এলাকার অন্তত ১০ লাখ মুসলমানকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালাচ্ছে চীন।
তবে চীনের দাবি, এগুলো উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সহিংসতা মোকাবিলায় এসব কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এফএম/একে