বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সিনেটের ২৯ জন সদস্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই অনুরোধ জানান। তাদের দাবি, দ্রুত আইন প্রণয়ন করে তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞার মুখে না ফেললে ব্যাপক প্রাণহানির শিকার হবে সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকেরা।
তবে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি হোয়াইট হাউস। এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তুরস্কের সেনা অভিযানে ওয়াশিংটনের সায় নেই। তবে, হামলা ঠেকাতে তিনটি কাজ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথমত, আন্তর্জাতিক নেতাদের সহায়তায় সরাসরি তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা। দ্বিতীয়ত, আঙ্কারার বিরুদ্ধে দ্বিগুণ মার্কিন সেনা পাঠানো। সবশেষ, কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে তুরস্কের মধ্যস্থতায় সাহায্য করা। এক্ষেত্রে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোয়ানকে সমঝোতার আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি, সিরিয়ায় সীমান্ত রেখা অতিক্রম করামাত্র আঙ্কারার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সেনাদের গোলাবর্ষণে এরই মধ্যে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালাবে আঙ্কারা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, এখনো বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে তুর্কি সেনাদের গাড়িবহর।
এর আগে, তুরস্ক দাবি করেছিল, সিরিয়ায় তুর্কি অভিযানে আপত্তি নেই ওয়াশিংটনের। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রও বলেছিল, এ হামলার কোন দায় নেবে না হোয়াইট হাউস। দ্রুত সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানায় তারা।
তুরস্ক মনে করে, নিজ দেশের অভ্যন্তরে বসবাসরত কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সিরিয়ার কুর্দিদের যোগাযোগ রয়েছে। তাই তুর্কি- সিরিয়া সীমান্ত থেকে কুর্দিদের সরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোয়ান। ২০১৪ সালে সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) নির্মূল করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা দিয়েছিল এই কুর্দিরা।
ইতোমধ্যে ফ্রান্স, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের মিত্রদেশ রাশিয়া বলছে, অযথা প্রাণহানি ঠেকাতে অতর্কিত সেনা হামলায় না গিয়ে অবশ্যই সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আসতে হবে তুরস্ককে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
কেএসডি/একে