শনিবার (১২ অক্টোবর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরপরই মার্কিন সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চল থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহারের পরপরই তুরস্কের এমন হামলায় বিশ্বজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ার কিছু অঞ্চল থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে তুরস্ককে ওই দেশটিতে অভিযান চালানোর ‘সবুজ সঙ্কেত’ই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সেটি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার এ ব্যাপারে তুরস্ককে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও কুর্দিদের সঙ্গেই আছে। আঙ্কারা এই অভিযান বন্ধ না করলে তাদের ‘মারাত্মক পরিণতি’ হতে পারে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের এবারের অভিযানের সিদ্ধান্তকে ‘অদূরদর্শী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এস্পার বলেন, এই অভিযানের ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে আইএস’র বন্দিশিবির।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন মনে করেন, এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হবে না মার্কিন সরকারকে। তুরস্কের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদিত নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলে দেশটির অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে দাবি করেন তিনি।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যাতে তুরস্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, এলক্ষ্যে মার্কিন রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি, উভয় দলের নীতি-নির্ধারকরাই নীতিমালা প্রণয়ন করছেন।
এদিকে ‘ন্যাটো’ মিত্র তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রবাহিনী কুর্দিদের ‘সমঝোতা’র কথাই ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে, এই সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, সিরিয়ায় এমন অবস্থা চলতে থাকলে ঘরহারা হতে পারে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এফএম/এসএ