সোমবার (১৪ অক্টোবর) কুর্দিদের বরাতে এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সিরিয়ার ওইসব অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের পরপরই মার্কিন সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক।
মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরপরই তুরস্কের এমন হামলায় বিশ্বজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে তুরস্ককে সামরিক অভিযান চালানোর ‘সবুজ সঙ্কেত’ই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সেটি অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমরা এখনও কুর্দিদের সঙ্গেই আছি।
শেষ খবর অনুযায়ী, যেকোনো সময় উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সৈন্য পাঠাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকার। ওয়াশিংটনের অনুরোধেই সিরীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দিদের সেনা সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, তুরস্কের এই হামলার মধ্যেই উত্তরাঞ্চলের আইন ইসা বন্দিশিবির থাকা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের আত্মীয়দের মধ্য থেকে অন্তত ৮০০ জন পালিয়ে গেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) জানিয়েছিল, তুরস্কের হামলা অব্যাহত থাকলে কুর্দিদের পক্ষে বন্দিশিবির পাহারায় থাকা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে আইএস জঙ্গিরা দেশটির ওইসব অঞ্চলে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে কুর্দি ও তুরস্কের চলমান এ ইস্যুতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেটি নাকচ করে কুর্দিদের না হটানো পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এরদোগান।
এর আগে এক বিবৃতিতে এই সঙ্কট নিরসনে আঙ্কারাকে কুর্দিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘও। আন্তর্জাতিক সব বাধা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরও নিজ অবস্থান থেকে সরে যায়নি আঙ্কারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
কেএসডি/এসএ