বুধবার (১৬ অক্টোবর) হংকংয়ের মং কক এলাকায় হাতুড়ি নিয়ে শামের ওপর হামলা চালায় পাঁচ দুর্বৃত্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক ছবিতে দেখা যায়, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন।
জিমি শাম হংকংয়ে রাজনৈতিক ও এলজিবিটি আন্দোলনের অন্যতম কর্মী। গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভের শুরু থেকেই তার গ্রুপ অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গত রোববার (২০ অক্টোবর) আন্দোলনের অংশ হিসেবে শহরে পদযাত্রার অনুমতি চাইলে তা নাকচ করে দেয় পুলিশ।
হাসপাতাল থেকে শাম বলেন, আমি শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। হামলার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সাহায্য পাওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
এদিকে, জিমি শামের ওপর হামলার ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান জশুয়া রোজেনজুইগ এক বিবৃতিতে বলেন, জিমি শাম হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পরে, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সমাজকর্মীদের ওপর হামলা দিন দিন বাড়ছে। এই ঘটনা আতঙ্কজনক।
অপরাধী প্রত্যর্পণে প্রস্তাবিত বিল বাতিলের দাবিতে গত জুন মাসে বিক্ষোভ শুরু হয় চীনের অধীনে আধাস্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলটিতে। সেই গণবিক্ষোভ এখন ‘গণতান্ত্রিক হংকং’ আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের বাধার কারণে সংসদের বাৎসরিক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে পারেননি হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। সংসদের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করার পরে শুরু হলেও বক্তব্য রাখতে পারেননি তিনি।
সংসদ অধিবেশনে বিঘ্ন হওয়ার ঘটনা হংকংয়ের ইতিহাসে এটাই প্রথম। ফলে, বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলটি সরকারিভাবে এখনো বাতিল করা যায়নি।
পরে, এক সংবাদ সম্মেলনে লাম জানান, বিক্ষোভকারীদের দাবি তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন না। তবে, ভোট পদ্ধতিতে পরিবর্তন দরকার আছে বলে মনে করেন না তিনি। তার মতে, হংকংয়ে মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় চীনের হস্তক্ষেপ নেই।
এর পরপরই শামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর পেছনে সরকার সমর্থকদের হাত আছে বলে ধারণা করছে সিএইচআরএফের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এফএম/একে