শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে হাকসা মিনা জেলার জাও দারার এলাকার ওই মসজিদে এই হামলা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, দু’টি বোমা মসজিদের ভেতরে পেতে রেখে এ হামলা চালানো হয়।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোগ্যানি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নামাজের সময় হঠাৎ দুই দফায় বিস্ফোরণে মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়ে। এতে নামাজরত মুসল্লিদের রক্তে ভেসে যায় মসজিদ।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর গোরজ্যাং বলেন, বিস্ফোরণের সময় মসজিদে ৩৫০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণ ঘটলে গোটা মসজিদে যেন বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবারই (১৭ অক্টোবর) জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছিল, আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক অতীতের তুলনায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির সংখ্যা ‘নজিরবিহীন’ ছিল। একদিনের মাথায় এই বিস্ফোরণটি ঘটলো নাঙ্গারহারে।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির মুখপাত্র সেদিদ সিদ্দিকী এক টুইটার বার্তায় নামাজরত মুসল্লিদের ওপর বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে চলতে থাকায় তালিবানদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
যদিও আফগান সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমঝোতার প্রক্রিয়ায় থাকা তালিবানরা এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই অঞ্চলে বর্বর জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটও (আইএস) সক্রিয় রয়েছে। তবে তারাও এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এইচএ/