যদিও আগাম নির্বাচন শুধু তার কথায় নয়; সংসদের অনুমোদন পেলে তারপর। এ হিসেবে শুধু হুঁশিয়ারি দিলেই হবে না বাস্তবায়নটা কঠিন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বরিস জনসনকে ব্রেক্সিটে আরও তিন মাস সময় দিতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ। তবে ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ এই দীর্ঘ সময় বাড়ানোর পক্ষে নয়।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, আমি ইইউ নেতাদের জনসনের ব্রেক্সিটে দেরি করার প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার সুপারিশ করেছি।
ইইউ কর্মকর্তারাও বলছেন, ব্রেক্সিটে তিনমাস দেরি করার প্রস্তাব মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হয়ে গেলে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগও দেওয়া হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
যদিও চুক্তি পাসটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কেননা, ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত চুক্তিতে ইইউ পার্লামেন্টের দেওয়া তিনদিনের সময়সীমায় হাউস অব কমন্সে বিল পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছেন বরিস। পূর্ণাঙ্গ আইন ছাড়া ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে রাজি না ব্রিটিশ এমপিরা। আর যে কারণে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন জনসন। যদিও এখনও তিনি জোর দিয়ে বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে নির্ধারিত ৩১ অক্টোবরই ব্রিটেন বেরিয়ে যাবে।
এদিকে, ব্রেক্সিটে বিলম্ব আসার আভাস পেয়ে সংসদের বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আগামী ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন বরিস জনসন। তবে এমপিরা ব্রেক্সিট নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিলে সে পথে হাঁটবেন না তিনি।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে ব্রাসেলসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রেক্সিটের সময়সীমা বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন বলেন, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তবে ব্রিটিশ এমপিরা নির্বাচন মেনে নিলেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রেক্সিটের সময় নিয়ে ভাববেন তিনি।
এদিকে, আগাম নির্বাচনে যেতে হলে দুই তৃতীয়াংশ এমপিকে অবশ্যই পক্ষে ভোট দিতে হবে। যদিও এরইমধ্যে অনেকে এর বিরোধিতা করেছেন।
এর আগে অনেক অচলাবস্থা কাটিয়ে গত সপ্তাহে বরিস জনসন এবং ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য ব্রাসেলসে নতুন একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিলেন। যা মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) হাউস অব কমন্সে উত্থাপনের আগেই আরেকটি প্রস্তাবে ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর আরও কয়েকবার চুক্তিটি নিয়ে হেরে যান জনসন।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্যর্থ চলতি বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় টেরিজা মে-কে। এরপর নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন বরিস জনসন। ক্ষমতায় আসার পরেই ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে আলাদা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
কেএসডি/টিএ